মাথা ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসা কিভাবে করবেন

বাজেটের মধ্যে গেমিং পিসি কিভাবে কিনবেন তা জেনে নিন মাথা ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসা কিভাবে করবেন তার সঠিক পদ্ধতি জেনে নিন। বিভিন্ন কারণে মাথাব্যাথা হতে পারে। আর যখন মাথা ব্যাথা করবে তখন মাথা ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসা কিভাবে করবেন তা অনেকেই জানেন না। ফলে কষ্টের মাত্রা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে যায়। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে বরং আমরা দেখি মাথা ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসা কিভাবে করবেন?

সাধারন মাথা ব্যাথা থেকে শুরু করে তীব্র থেকে তীব্রতর মাথা ব্যাথার বিভিন্ন কারন হতে পারে। এ সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ঘন ঘন মাথা ব্যাথা হলে দেরি করবেন না। মাথা ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসা কিভাবে করবেন এমন দুঃশ্চিন্তা না করে দ্রুত কোন বিশষজ্ঞ ডাক্তারকে দেখান। চলুন আমরা এবার মাথা ব্যাথার কারনগুলো সম্পর্কে জেনে নিই।

পেজ সূচীপত্রঃ মাথা ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসা করবেন যেভাবে

মাথা ব্যাথার কারণ 

মাইগ্রেন এবং মানসিক চাপ মাথা ব্যাথার খুব সম্ভবত দুটি কারণ। এর মধ্যে শতকরা প্রায় ৭০% দুশ্চিন্তার কারনে হয়ে থাকে। বাকি ৩০% অন্যান্য কারণে। মাদকাসক্তি, ধুমপান ও মদ্যপান মাথা ব্যাথার অন্যতম কারন হতে পারে। তাহলে, মাথা ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসা কিভাবে করবেন? অতিরিক্ত পরিমাণে ঘুমের ওষুধ সেবন করা অনেক সময় মাথা ব্যাথার কারণ হতে পারে। গরমের মাত্রা বেশি হলেও মাথা ব্যাথা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সময় মত না খেলে শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে সেই সাথে মাথা ব্যাথাও হতে পারে। আশা করছি কোন কারনে মাথা ব্যাথা হয় আপনি বুঝতে পারছেন। 

মাথা ভারী লাগার কারন

অনেক সময় ঠান্ডা লাগার কারনে মাথা ব্যাথা হতে পারে। এরূপ ক্ষেত্রে মাথা ভারী লাগতে পারে। অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারনে মাথা ভারী ভারী লাগতে পারে। এরূপ ক্ষেত্রে, মাথা ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসা কিভাবে করবেন? আপনি যদি অধিক পরিমানে নেশা করে থাকেন তবে আপনার মাথা ব্যাথা করতে পারে। এতে করে মাথা ভারী হয়ে থাকে। আবার ঘুম কম হলেও মাথা ভারী লাগতে পারে।

আরো পড়ুনঃ বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস ও কিছু কথা

এরূপ ক্ষেত্রে মাথা ব্যাথা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। সুতরাং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম দেওয়ার চেষ্টা করুন। একটানা দীর্ঘ সময় কোন বিষয়ে কাজ করা মোটেই ঠিক নয়। মাঝে মধ্যে একটু বিরতি নেওয়া দরকার। মাথা ভার হয়ে থাকলে সত্যিকার অর্থেই আমাদের কোন কাজ ভালো লাগে না। এরূপ ক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। অন্যথায় এটা বড় কোন রোগের কারন হতে পারে।

মাথা ব্যাথা কি কোন বড় রোগের লক্ষণ?

মাথা ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসা কিভাবে করবেন এই সম্পর্কিত আজকের আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা দেখবো মাথা ব্যাথা কোন বড় ধরনের রোগের লক্ষণ হতে পারে কিনা? অনেক ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন না করলে অনেক বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। চলুন প্রতিনিয়ত মাথা ব্যাথা হলে সেটা কেমন ক্ষতিকর  হতে পারে একটু জেনে নেই-

• মাথার পিছনের দিকে টেনশন হেড-এক হয়ে থাকে।
• অনেক সময় চোখের কারনে মাথা ব্যাথা হয়ে থাকে। সুতরাং পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিতে হবে।
• মাথার ভেতর থাকা ছোট ছোট বায়ুকুঠুরির নাম হচ্ছে সাইনাস। এখানেও ব্যাথা হয়ে থাকে।
• মাথার আর এক ধরনের ব্যাথা হয়ে থাকে। তার নাম হচ্ছে ক্লাস্টার হেড-এক                                   

অনেক সময় মাথা ব্যাথা করলে মনের মধ্যে এমন প্রশ্ন এসে যায় যে, মাথা ব্যাথা কোন বড় রোগের লক্ষণ নয় তো আপনার মনে যদি এমন সন্দেহ এসে থাকে এবং মাথা ব্যাথার পরিমাণ বেশি হয়ে যায় তাহলে দেরি না করে দ্রুত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে দেখানো উচিত।

মাথা ব্যাথা দূর করার উপায় 

মাথা ব্যাথা দূর করার জন্য আপনি প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ খেতে পারেন। তবে সাধারন কোন ব্যাথার ক্ষেত্রে ঔষধ সেবন না করাই ভালো। এতে করে হিতের বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাহলে, মাথা ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসা কিভাবে করবেন? পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম গ্রহণ করুন। মানসিক চাপ প্রত্যাহার করুন। আমাদের সকলের বাড়িতেই মোটামুটি আদা পাওয়া যায়।

আপনি জানেন কি আদা কিন্তু মাথার রক্তনালীর প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে? আদা কিংবা আদার চা মাথা ব্যাথা কমার জন্য অনেক উপকারী হয়ে থাকে। প্রয়োজনে, মাথা ব্যাথা দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন। আপনি জানেন কি, মাথা ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসা কিভাবে করবেন?  বিস্তারিত জানতে পড়তে থাকুন। আপনি আইসব্যাগে বরফ ভরাতে পারেন। এবার এই আইসব্যাগটি আপনার মাথার উপরে রাখুন।

দেখবেন কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার মাথার ব্যাথা কমে যাবে। তবে আপনার যদি ঠান্ডা লেগে থাকে তাহলে এই পদ্ধতিটি এড়িয়ে চলুন। আদা ও লেবুর রস একসাথে সেবন করতে পারেন। এতে করেও আপনার মাথা ব্যাথার প্রদাহ কমে যেতে পারে। আবার পুদিনা পাতার রসে ম্যানথল থাকে। আর এই ম্যানথল কিন্তু মাথার প্রদাহ কমতে অনেকটায় সহায়তা করে।

আরো পড়ুনঃ আউটসোর্সিং কি ঘরে বসে কিভাবে আয় করা যায়

রোদের মধ্যে ঘোরার সময় এন্টি গ্লেয়ার চশমা ব্যবহার করুন। এতে করে মাথা ব্যাথা কমে আসতে পারে। অনেক সময় মাথা ব্যাথা দূর করার জন্য বাজারের বিভিন্ন পেইন কিলার নামক ছোট্ট ঔষধের কৌটা আমরা ব্যবহার করে থাকি। 

মাথার তালু ব্যাথায় করণীয়

যদি আপনি দেখেন মাথার তালুতে ব্যাথা করছে, তাহলে মাথা ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসা কিভাবে করবেন?  অনেক সময় আমাদের অনেকের মাথার তালু ব্যাথা করে  থাকে। স্কাল্ফ ইনফেকশনের কারনে মাথার তালু ব্যাথা করে থাকে। এরূপ ক্ষেত্রে, নারকেল বা জলপাই তেল অনেক উপকারী হয়ে থাকে। এই ধরনের ব্যাথার প্রদাহ কমাতে আপনি আইবুপ্রোফেন ব্যবহার করতে পারেন।

এটি আপনার ব্যাথা কমাতে অত্যন্ত সহায়ক হতে পারে। মাথার তালুতে তেল ব্যবহারের সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন অতিরিক্ত চাপ না পড়ে। কেননা আমাদের শরীরের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশই হচ্ছে মাথা। আশা করছি, মাথার তালুতে ব্যাথা হলে যা করতে হবে সেই বিষয়ে বিস্তর ধারনা পেয়েছেন। 

মাথা ব্যাথা দূর করার ঘরোয়া উপায় 

আমরা এতক্ষন মাথার ব্যাথার কারন, মাথার তালুতে ব্যাথা কি কারনে হয় সে সম্পর্কে জানলাম। এখন আমরা জানবো, মাথা ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসা কিভাবে করবেন? মাথা ব্যাথা দূর করার জন্য আপনি আঙ্গুলের ডগা দিয়ে কপালে মেসেজ করতে পারেন। এতে করে মাথা ব্যাথা অনেকটা কমে যেতে পারে। এছাড়াও আপনি চা পান করতে পারেন। চা এর মাঝে ক্যাফেইন রয়েছে যা মাথা ব্যাথা কমাতে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে।মাথা ব্যাথা কমানোর জন্য আপনি ঘরের আলো নিভিয়ে দিতে পারেন। কম্পিউটার ল্যাপটপ কিংবা মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকুন।

অসহ্য মাথা ব্যাথার ক্ষেত্রে আপনি গোসল করতে পারেন। এরূপ ক্ষেত্রে, আপনার মাথা ব্যাথা অনেক অংশে কমে যেতে পারে। শরীরের পানি শুন্যতার কারনে মাথা ব্যাথা হয়ে থাকে। তাই  পর্যাপ্ত পরিমান পানি গ্রহন করুন। অথবা, মাথা ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসা কিভাবে করবেন এই সম্পর্কে আরো তথ্যের জন্য গুগলকে সঙ্গী বানিয়ে নিন। আবার কোন কোন সুগদ্ধি ফ্লেভারের তেল দিয়ে মাথা ম্যাসেজ করলেও মাথার ব্যাথা অনেকাংশই কমে যেতে পারে। যেমন, ল্যাভেন্ডার কিংবা পিপারমিন্ট নামক সুগন্ধি। এগুলো মাথা ব্যাথা কমানোর জন্য বিশেষভাবে কাজে লাগে।

মাইগ্রেনের সমস্যা খুবই ক্ষতিকর একটি সমস্যা। যতটা দ্রুত সম্ভব এই সমস্যা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত করার চেষ্টা করতে হবে। এছাড়াও পবিত্র আল কোরআনের ‘‘সূরা ফাতিহা’’ এবং সূরা ‘‘আল ইমরান’’ এর ৫৪ নং আয়াত মাথা ব্যাথা কমাতে অব্যর্থ চিকিৎসা। এই বিষয়গুলো মাথায় রাখলে আশা করছি, মাথা ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসা কিভাবে করবেন এমন জটিলতার মধ্যে আপনাকে পড়তে হবে না। অনেক সময় রক্তচাপের কারনে মাথা ব্যাথা হতে পারে। এরূপ ক্ষেত্রে, ব্লাড প্রেসার চেক করে নিন। এরপর ডাক্তারের সিদ্ধান্ত গ্রহন করুন।

আরো পড়ুনঃ  কোন ধরনের ত্বকে গ্লিসারিন ব্যবহার করা যাবে

ঘরোয়া উপায়ে মাথা ব্যাথার চিকিৎসা করে যদি আপনি সমাধান না পান তবে আপনার উচিত হবে কোন সাইকিয়াট্রিস্টকে দেখানো। এতে করে মাথা ব্যাথা নামক সমস্যা থেকে আপনি নিস্তার পেতে পারেন। বুঝতে পারলেন তো, মাথা ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসা কিভাবে করবেন?

পরিশেষে 

আমাদের অনেকের প্রায় সময় মাথা ব্যাথা হয়ে থাকে। যখন মাথা ব্যাথা হয়ে থাকে তখন এর কারন খুঁজে বের করা দরকার। যদি স্বাভাবিক ব্যাথা হয়ে থাকে তবে পর্যাপ্ত পরিমান বিশ্রাম নিন। আর ব্যাথার পরিমান বেশি হলে এবং দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাথা থাকলে দেরি না করে দ্রুত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করুন।

তাহলে সকল প্রকার নেশাজাতীয় দ্রব্য আমাদের পরিহার করে চলা উচিত এবং সেই সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম দরকার। এতক্ষনে নিশ্চয় মাথা ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসা কিভাবে করবেন এই বিষয়টি সম্পর্কে সু-স্পষ্ট ধারনা পেয়েছেন। আমাদের আর একটি বিষয় খেয়াল রাখা দরকার তা হলো পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার সময় মত খাচ্ছি কি না সেদিকে খেয়াল রাখা। অর্থাৎ যে সকল কারনে মাথা ব্যাথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেই কারনগুলো উপেক্ষা করে চলতে হবে। ২৪৬১৪