আউটসোর্সিং কি ঘরে বসে কিভাবে আয় করা যায়

আউটসোর্সিং কি ঘরে বসে কিভাবে আয় করা যায় আপনি কি জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আজ আপনাদের আউটসোর্সিং কি ঘরে বসে কিভাবে আয় করা যায় বা আউটসোর্সিং কি ঘরে বসে করা যায় কিনা তা জানাবো। যারা আউটসোর্সিং কি ঘরে বসে কিভাবে আয় করা যায় জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

বর্তমানে আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং বিশ্বে খুব সাধারণ। প্রচুর ফ্রিল্যান্সার ফ্রিল্যান্সিংকে একটি ফুল-টাইম কাজ হিসাবে গ্রহণ করছে এবং একটি ফুল-টাইম অন্যান্য জবের চেয়ে বেশি অর্থ উপার্জন করছে। আজ আমি আলোচনা করবো আউটসোর্সিং কি ঘরে বসে কিভাবে আয় করা যায় বা আউটসোর্সিং কি ঘরে বসে করা যায়।

সূচিপত্রঃ আউটসোর্সিং কি ঘরে বসে কিভাবে আয় করা যায়

• আউটসোর্সিং কি?
• আউটসোর্সিং কি ঘরে বসে কিভাবে আয় করা যায়
• কাজের গুণমান উন্নত করার উপর মন দিতে হবে
• কাজ শুরু করার আগে একটি স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্র করে নিন
• পেমেন্টের বিষয়টা ক্লিয়ার করে নিন
• কাজ সময়ের আগে জমা দিয়ে ক্লায়েন্টকে চমক দিন
• আপনার কিছু পছন্দ না হলে না বলতে শিখুন
• আপনার কাজের দক্ষতা বাড়ান
• আজকের কাজ কালকের জন্য ফেলে রাখবেন না
• শেষ কথা

আউটসোর্সিং কি?

আউটসোর্সিং হল একটি এমন একটি কাজ যেখানে একটি কোম্পানী তার বিভিন্ন কাজ নিজে না করে বাহিরের কাউকে বা তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে করিয়ে নেয়। আউটসোর্সিং শব্দটি বাইরের এবং রিসোর্সিংয়ের একটি পোর্টম্যানটো, যার অর্থ কাজটি সম্পন্ন করার জন্য একজন বাহিরের কাউকে অর্থ প্রদান করা। এই কাজের মধ্যে ব্যবসার প্রক্রিয়া যেমন বেতন, অপারেশনাল কাজগুলি এবং নন-কোর ফাংশনগুলি ব্যবসার প্রকৃতি এবং প্রকারের উপর নির্ভর করে।

আউটসোর্সিং কি ঘরে বসে কিভাবে আয় করা যায়

বর্তমানে প্রচুর মানুষ ফ্রিল্যান্সিংকে একটি ফুল-টাইম কাজ হিসাবে নিয়ে কাজ করছে এবং অফলাইন একটি ফুল-টাইম কাজের থেকে এখানে বেশি অর্থ উপার্জন করছে। বাংলাদেশ একটি অতি জনসংখ্যার উন্নয়নশীল দেশ। এতে মেধাবী মানুষ থাকলেও বেকারত্বই এর অবস্থার উন্নতির প্রধান বাধা। স্নাতক শেষ করার পরে শিক্ষার্থী চাকরি খুঁজে পায় না এবং তারা বেকার থাকে।

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের সেরা ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠান - বাংলাদেশের সেরা ফ্রিল্যান্সার

অনলাইন আয় এবং আউটসোর্সিং মেধাবীদের একটি জাতির সম্পদে পরিণত করতে পারে। কারণ আউটসোর্সিংয়ের সাহায্যে মানুষ বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারে এবং দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতিতে অবদান রাখতে পারে। বাংলাদেশের আজকের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হল কিভাবে আউটসোর্সিং করে অর্থ উপার্জন করা যায়। তাই নিচে আমরা আউটসোর্সিং কি ঘরে বসে কিভাবে আয় করা যায় বা আউটসোর্সিং কি ঘরে বসে করা যায় কিনা তা আলোচনা করবো।

কাজের গুণমান উন্নত করার উপর মন দিতে হবে

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিংকে একটি ফুল-টাইম কাজ হিসেবে নিতে চান, তাহলে এটিকে গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে এবং আপনার ক্লায়েন্টদের ভালো মানের কাজ করে দিতে হবে। আপনি আপনার বন্ধু বা সহকর্মীর সাহায্য নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট থেকে একটি কাজ নিতে পারেন কিন্তু আপনি যদি ভালো মানের কাজগুলি করতে না পারেন তবে ক্লায়েন্টরা আপনাকে টাকা দিবে না বা টাকা দিতে দেরি করবে। যা আপনাকে হতাশ করে তুলবে এবং আপনার কাজের উপর ইচ্ছা হারিয়ে যাবে। তাই ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে নিয়মিত এবং সময়মতো পেমেন্ট পেতে আপনার কাজের মান উন্নত করতে হবে।

কাজ শুরু করার আগে একটি স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্র করে নিন

আপনি ক্লায়েন্টের কাজ শুরু করার আগে আপনার ক্লায়েন্টের কাছ থেকে একটি স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্র নেওয়ার চেষ্টা করবেন। এটি করার মাধ্যমে আপনি আসলে অনেক ভুল এড়াতে পারেন যা ফ্রিল্যান্সাররা প্রায় করে থাকে। কিছু মৌলিক বিষয় যা আপনি আপনার চুক্তিপত্রে উল্লেখ করতে পারেন যেমনঃ

• লেখাটি অবশ্যই কপি করা হবে না এটা একদম রিয়াল হতে হবে এটি একজন ফ্রিল্যান্সারের জন্য সবচেয়ে প্রাথমিক এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
• একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনাকে ক্লায়েন্টের মালিকানার তথ্য গোপন রাখতে হবে।
• আপনার টাকার শর্তাবলী
• আপনার কাজ শেষ করার পরে আপনাকে আপনার কাজ জমা দিতে হবে এবং যদি তারা আপনার কাছ থেকে এটি নেয়ার পর এর কি করবে সেই বিষয়টি দেখাশোনা করা তাদের দায়িত্ব এবং আপনি এর জন্য বেশি দায়ী নন। তারপর তারা লোগো লাগাতে পারে বা প্রিন্ট করতে পারে এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারে।

একটি সাধারণ ফ্রিল্যান্স চুক্তিতে আপনাকে উপরের সমস্ত বিষয় উল্লেখ করতে হবে এবং যদি তারা আপনার সাথে একমত হয় তবে তারা আপনাকে কাজ দিবে, স্বাক্ষর করবে এবং আপনাকে ফিরিয়ে দেবে অথবা তারা ডিজিটালভাবে স্বাক্ষর করতে পারে। এই চুক্তিপত্রটি আপনাকে পরে কাজের যে কোনো হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে কারণ এটি একটি আইনি কাগজ। আপনি এখানে কাজ, অর্থপ্রদান এবং অর্থপ্রদানের তারিখ ইত্যাদি উল্লেখ করতে পারেন।

পেমেন্টের বিষয়টা ক্লিয়ার করে নিন

ফ্রিল্যান্সারদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল পেমেন্টের সমস্যা কারণ তারা কখনই সময়মতো পেমেন্ট পাওয়া যায় না। কিন্তু আপনি যদি ডাউন পেমেন্ট নেন তাহলে আপনি সহজেই এটি এড়াতে পারবেন। আপনি আপনার কাজ শুরু করার আগে পেমেন্টের 50% নিতে পারেন এবং কাজ জমা দেওয়ার পর আপনাকে বাকি 50% টাকা পাঠাবে। যদি তারা আপনার সাথে একমত না হয় তবে আপনি তাদের কাজ নাও করতে পারেন। আউটসোর্সিং কি ঘরে বসে কিভাবে আয় করা যায় কিনা জানতে এই পয়েন্ট গুলো ভালোভাবে কাজে লাগান।

কাজ সময়ের আগে জমা দিয়ে ক্লায়েন্টকে চমক দিন

প্রত্যেক মানুষই চমক পেতে ভালোবাসে। একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি তাদেরও দিতে পারেন যেমন আপনার কাজ সময়ের আগে পাঠানো বা আপনার আয় 100% বৃদ্ধি করা। এটি আপনাকে তাদের কাছ থেকে আরও কাজ পেতে সাহায্য করবে এবং এইভাবে আপনি তাদের সাথে একটি ভালো সম্পর্ক তৈরি করতে পারেন। এভাবে আপনি যদি মাঝে মাঝে চমক দেন তাহলে তারা আপনাকে আরো বেশি কাজ দিবে।

আপনার কিছু পছন্দ না হলে না বলতে শিখুন

আপনি যদি একজন পেশাদারের মতো বেড়ে উঠতে চান তবে আপনাকে না বলতে শিখতে হবে। আপনার যদি কোন কাজ পছন্দ না হয় ভালো না লাগে তাহলে মুখের ওপর না বলতে শিখতে হবে না হলে লোকেরা আপনাকে শোষণ করতে পারে। সুতরাং আপনার শর্তাবলীর সাথে কঠোর থাকতে হবে।

আপনার কাজের দক্ষতা বাড়ান

আউটসোর্সিং কি ঘরে বসে কিভাবে আয় করা যায় কিনা তার জন্য আপনার কাজের দক্ষতা বাড়ানো উচিত কারণ এটিই একমাত্র উপায় যার মাধ্যমে আপনি ক্লায়েন্টদের সাথে বা বড় কোম্পানির সাথে সংযুক্ত হতে পারেন। তারা আপনার কাজের স্টাইল এবং গুণমান এবং কাজের মান দেখে আপনার সাথে যোগাযোগ করবে তাই এটিতে সেরা হওয়ার চেষ্টা করুন কারণ এটিই একজন সফল এবং বড় ফ্রিল্যান্সার হিসাবে গড়ে উঠার একমাত্র উপায়।

আজকের কাজ কালকের জন্য ফেলে রাখবেন না

কাজ জমা রেখে কাজের চাপে পড়বেন না কারণ একবারে খুব বেশি কাজ করা আপনার উপর মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে এবং কাজের গতি নষ্ট করতে পারে এবং আপনার চিন্তা করার ক্ষমতার ক্ষতি করতে পারে। নিজের জন্য একটি রুটিন তৈরি করুন এবং এটি অনুসরণ করার চেষ্টা করুন।

আরো পড়ুনঃ কোন ধরনের ত্বকে গ্লিসারিন ব্যবহার করা যাবে

মূলত আপনাকে একটি নির্দিষ্ট ক্লায়েন্টকে আটকে রাখার দরকার নেই। আপনি অন্যান্য ক্লায়েন্ট এর কাছ থেকেও কাজ নিতে পারেন যদি আপনি করতে পারেন। তাই আউটসোর্সিং কি ঘরে বসে কিভাবে আয় করা যায় সেটা জানুন এবং আজকের কাজ আজকেই করুন কালকের জন্য ফেলে রাখবেন না।

আউটসোর্সিং কি ঘরে বসে কিভাবে আয় করা যায় - শেষ কথা

আউটসোর্সিং আজকাল খুব সাধারণ এবং আপনি যদি সত্যিই মনে করেন যে আপনার কাছে আউটসোর্সিং করা ভালো লাগে তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার কাজ শুরু করুন। কারণ জত দিন যাচ্ছে এটা খুব কম্পিটিশন বেড়ে যাচ্ছে। তাই এই কাজে সফল হওয়ার জন্য আপনাকে খুব ভালোভাবে আউটসোর্সিং কি ঘরে বসে কিভাবে আয় করা যায় তা জানতে হবে। আর আমি এই আর্টিকেলে আউটসোর্সিং কি ঘরে বসে কিভাবে আয় করা যায় বা আউটসোর্সিং কি ঘরে বসে করা যায় কিনা তা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। ২২৪৯৮