বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস ও কিছু কথা

বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস ও কিছু কথা সম্পর্কে কি জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য। কেননা আজকের আর্টিকেলে বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস ও কিছু কথা আপনাদের বিস্তারিত জানানো হবে। তাই যদি আপনি বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস ও কিছু কথা জানতে চান তাহলে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

আরবি ভাষা মানবতার জন্য একটি স্তম্ভ। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কথা বলা ভাষাগুলির মধ্যে একটি। প্রতিদিন ৪০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ আরবি ভাষায় কথা বলে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস ও কিছু কথা। নিচে বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস ও কিছু কথা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

সূচিপত্রঃ বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস ও কিছু কথা

• বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস কেন পালিত হয়?
• বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস ও কিছু কথা
• আরবি কোথা থেকে এসেছে?
• আরবি সম্পর্কে কিছু আকর্ষণীয় এবং মজার তথ্য কি কি?
• শেষ কথা

বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস কেন পালিত হয়?

২০১২ সাল থেকে ১৮ ডিসেম্বর বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস পালিত হচ্ছে। ইউনেস্কোর ওয়েবসাইট থেকে এর জন্য জানা গেছে আরবি ভাষা পৃথিবীর সবথেকে বলা ভাষা গুলার মধ্যে একটি। আরবি ভাষাতে অনেক কবিতা, কাব্য এবং আরো অনেক কিছু লেখা হয় তাই অনেক এখন অনেক মানুষ এই ভাষার সাথে পরিচিত। তাই এটা একটা কারণ হল যে এই ভাষাকে সম্মান করার জন্য বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস পালিত হয়। এছাড়াও সকল মানুষের কাছে আরবি ভাষার মহত্ত্ব পৌছে দেবার জন্য বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস পালিত হয়।

বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস ও কিছু কথা

আমরা আগেই বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস ও কিছু কথা সম্পর্কে জেনেছি যে ২০১২ সাল থেকে ১৮ ডিসেম্বর আরবি ভাষা দিবস পালন করা হয়। 1973 সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ আরবিকে জাতিসংঘের অফিসিয়াল ভাষাগুলির একটি করার সিদ্ধান্ত নেয়। তাই ১৮ ডিসেম্বর সারা বিশ্বে আরবি ভাষা দিবস পালত হয়।

আরো পড়ুনঃ কম সময়ে মোটা হওয়ার টিপস - মোটা হওয়ার কিছু সহজ উপায় জানুন

আরবি ভাষা বিশ্বের সবচেয়ে ব্যাপকভাবে বলা ভাষাগুলির মধ্যে একটি। এটি আরব বিশ্বের ৪২০ মিলিয়নেরও বেশি লোক এবং ১৩০ মিলিয়নেরও বেশি লোক তাদের দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে কথা বলে। এটি বিশ্বের ষষ্ঠ সবচেয়ে বলা ভাষা। বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস ও কিছু কথা সম্পর্কে আরো জানতে পড়তে থাকুন।

আরবি ভাষা আরব বিশ্বের অনেক গির্জার লিটারজিকাল ভাষাঃ এর মানে হল যে সেখানে আরবিতে খ্রিস্টান আচার-অনুষ্ঠান পালিত হয়। এছাড়াও ইহুদি সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আরবি ভাষায় লেখা হয়েছিল।

আরবি ভাষা সারা বিশ্বের বিলিয়ন মুসলমানদের আচার-অনুষ্ঠানের ভাষাঃ ইসলামে প্রার্থনা এবং অন্যান্য দোয়া সমূহ আরবি ভাষায় করা হয়। যারা আরব দেশের বাহিরের মুসলমানরাও তাদের দোয়াতে এবং তাদের কথাতে আরবি শব্দ পাওয়া যায়। কুরআন মুসলিমদের পবিত্র গ্রন্থ এবং আল্লাহর সকল আদেশ নিষেধ আরবি ভাষাতে হওয়ার কারণে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভাষাগুলির মধ্যে একটি।

আরবি ভাষা বিশ্বের প্রায় ৬৬ টি দেশে বলা হয়ঃ এটি সমস্ত আরব দেশ এবং এশিয়ান এবং আফ্রিকা মহাদেশের অন্যান্য দেশ যেমন ইরান, তুরস্ক, চাদ, মালি, ইরিত্রিয়া এবং ক্যামেরুনের সরকারী ভাষা হিসেবে স্থান দেওয়া হয়েছে যেখানে অনেক আরব উপজাতি রয়েছে।

এটি জাতিসংঘের ষষ্ঠ সরকারী ভাষাঃ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ 1973 সালে মরক্কো এবং সৌদি আরবের প্রস্তাবের পরে আরবিকে তাদের সরকারী ভাষাগুলির একটি করার সিদ্ধান্ত নেয়। এখান থেকে বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস ও কিছু কথা জানতে পারি।

আরবি বর্ণমালা অন্যান্য অনেক ভাষা যেমন ফার্সি এবং উর্দু দিয়ে ব্যবহৃত হয়ঃ অলিখিত ভাষার বক্তারা অতীতে তাদের মাতৃভাষা লিখতে আরবি বর্ণমালা ব্যবহার করত, এই কারণে যে আরবি ছিল তাদের দ্বিতীয় ভাষা তারা জানত।

আরো পড়ুনঃ  অ্যান্ড্রয়েড কি এবং Android version এর ইতিহাস

তবে আরবি ভাষা প্রযুক্তির সাথে মোকাবিলা করতে পারছে না। আরব দেশগুলিতে সঠিক পরিমাণ এই ভাষা অনুবাদের কারণে এটি এখন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। তাই সবার মধ্যে আরবি ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখতে এবং এই ভাষাকে সম্মান দেখানোর জন্য বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস পালন করা হয়। আশা করছি এখান থেকে বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস ও কিছু কথা সম্পর্কে জানতে পারবেন।

আরবি কোথা থেকে এসেছে?

যদিও আরবি ভাষার উৎপত্তি নিয়ে গবেষণা করে জানা গেছে এটি আরব উপদ্বীপ থেকে এসেছে বলে মনে করা হয়। আপনি যদি না জানেন যে এটি কোথায় এটি দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় এবং আফ্রিকা এবং এশিয়ার সংযোগস্থলে অবস্থিত এখন আমরা যাকে সংযুক্ত আরব আমিরাত নামে চিনি। আরবি একটি সেমেটিক ভাষা এবং প্রায় ১০০০ বছর ধরে চলে আসছে। আরবি অর্থ "যাযাবর" এবং আরব শব্দ থেকে উদ্ভূত যার অর্থ "যাযাবর"।

আরবি সম্পর্কে কিছু আকর্ষণীয় এবং মজার তথ্য কি কি?

আরবির বলতে গেলে তিনটি প্রধান বিভাগ রয়েছেঃ 

একটি হল ধ্রুপদী আরবিঃ যা ইসলামিক পবিত্র গ্রন্থ কুরআনের ভাষা।

আধুনিক স্ট্যান্ডার্ড আরবিঃ এটি ধ্রুপদী আরবি ভিত্তিক কিন্তু একটু সরলীকৃত। এটি স্কুলে পড়ানো হয় এবং আধুনিক সাহিত্য, টিভি, সংবাদ, রেডিও, ইন্টারনেট, চলচ্চিত্র ইত্যাদি জুড়ে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

কথোপকথন আরবিঃ বিশ্বের ২৫টি আরবি ভাষার দেশে পাওয়া যায় এমন অনেক উপভাষা রয়েছে। আরবি থেকে উৎপত্তি হওয়া সত্ত্বেও এই উপভাষা জাতিগুলির মধ্যে বোঝা কঠিন হতে পারে। একজন কুয়েতি তাদের স্থানীয় আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করে এমন একজন মরোক্কানকে তাদের মনের ভাব বুঝতে অসুবিধা হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ আউটসোর্সিং কি ঘরে বসে কিভাবে আয় করা যায় 

আরবি বর্ণমালায় ২৮টি অক্ষর রয়েছে এবং যখন এই অক্ষরগুলিকে কাগজে বা পর্দায় লেখা হয় তখন তাদের ফর্ম পরিবর্তন হতে পারে যার মধ্যে একটি শব্দের শুরুতে, শেষে বা মাঝখানে হবে কিনা তার উপর নির্ভর করে। ছোট ড্যাশ এবং আকারগুলিও অক্ষরের উপরে বা নীচে ব্যবহার করা হয় সংক্ষিপ্ত স্বরবর্ণের শব্দ একটি অক্ষরের চাপ বা একটি অক্ষরের দ্বিগুণ বোঝাতে। একটি পৃষ্ঠায় আরবি শব্দ লেখা এবং পড়া হয় ডান থেকে বামে।

আরবি ভাষা ইংরেজি, ফরাসি, স্প্যানিশ এবং তুর্কি সহ অনেক ভাষাকে প্রভাবিত করেছে। এখানে ১২টি ইংরেজি শব্দ রয়েছে যা আরবি থেকে ধার করা হয়েছে এর মধ্যে কয়েকটি আন্তর্জাতিক স্টপ সহঃ

• অ্যালকোহল - আরবি "আলকুহল" থেকে।
• ক্যান্ডি - আরবি শব্দ "কন্দ" থেকে যার অর্থ ক্রিস্টালাইজড চিনি।
• গজেল - আরবি "গজল" থেকে।
• ম্যাগাজিন - এটি আরবি "মাখাজিন" থেকে এসেছে যার মূল অর্থ ভাণ্ডার
• জিরাফ - আরবি "জারাফা" থেকে।
• আলকেমি - আরবি "অ্যালকেমিয়া" থেকে।
• লেবু - আরবি "লেমুন" থেকে।
• তুলা - আরবি "কোটন" থেকে।
• গদি - এটি আরবি শব্দ "matrah" শব্দ  থেকে এসেছে।
• চিনি - আরবি "শুকার" থেকে।
• সাফারি - এটি আরবি শব্দ "সাফার" থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ ভ্রমণ করা।
• সিরাপ - আরবি শব্দ "শরাব" ওয়াইনের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং ফ্রান্সের মধ্য দিয়ে যাওয়ার পরে ১৪ শতকে "সিরাপ" হিসাবে ইংল্যান্ডে আসে।

বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস ও কিছু কথা - শেষ কথা