বিশ্বনবী (সাঃ) ভ্রমণের সময় যেভাবে কসরের নামাজ আদায় করতেন

বাজেটের মধ্যে গেমিং পিসি কিভাবে কিনবেন তা জেনে নিন আপনি কি জানেন? বিশ্বনবী (সাঃ) ভ্রমণের সময় যেভাবে কসরের নামাজ আদায় করতেন? হয়তো বা জানেন না। আজকে আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাকে জানানোর চেষ্টা করব, বিশ্বনবী (সাঃ) ভ্রমণের সময় যেভাবে কসরের নামাজ আদায় করতেন। আমাদের সবারই জানা দরকার যে, বিশ্বনবী (সাঃ) ভ্রমণের সময় যেভাবে কসরের নামাজ আদায় করতেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ বিশ্বনবী (সাঃ) ভ্রমণের সময় যেভাবে কসরের নামাজ আদায় করতেন

• বিশ্বনবী (সাঃ) ভ্রমণের সময় যেভাবে কসরের নামাজ আদায় করতেন 
• মেয়েদের কসর নামাজ
• কসরের দূরত্ব
• সফরে জুমার নামাজের নিয়ম
• উপসংহার

বিশ্বনবী (সাঃ) ভ্রমণের সময় যেভাবে কসরের নামাজ আদায় করতেন

বিশ্বনবী (সাঃ) ভ্রমণের সময় যেভাবে কসরের নামাজ আদায় করতেন? এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনার সঙ্গে আলোচনা করব। আপনার যদি এ বিষয়ে সেরকম কোন ধারণা না থাকে এবং আপনি প্রায়ই বিভিন্ন ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ভ্রমণ করে থাকেন, তাহলে বিশ্বনবী (সাঃ) ভ্রমণের সময় যেভাবে কসরের নামাজ আদায় করতেন এ বিষয়ে আপনার পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে, কারণ সফরের সময় আল্লাহ পাক নামাজকে সংক্ষিপ্ত করে দিয়েছেন। এ বিষয়ে পুরোপুরি জানতে হলে এবং পরিষ্কার একটি দিক নির্দেশনা পেতে হলে, আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। 

আরো পড়ুনঃ কম সময়ে মোটা হওয়ার টিপস - মোটা হওয়ার কিছু সহজ উপায় জানুন

আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজের জন্য সফরে বের হই। আমাদের নিজস্ব বাসভবন থেকে ৪৮ মাইল বা ৭৮ কিলোমিটার দূরত্বে এবং ১৫ দিনের কম সময় থাকার নিয়তে যদি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এবং যখন আমরা আমাদের গ্রাম অথবা শহরের সীমানা পার হব, তখন থেকেই আমরা মুসাফির হয়ে যায়। মুসাফিরদের জন্য আল্লাহপাক কিছু বিধান করেছেন আল্লাহ তায়ালার প্রিয় বান্দাদের জন্য এই বিধান উপহার স্বরূপ। সফর মানে ভ্রমণ আর কসর মানে কম বা কমিয়ে দেওয়া। 

আমরা যখন সফরে থাকি, তখন আল্লাহপাক চার রাকাত ফরজ নামাজকে দুই রাকাতে কমিয়ে দিয়েছেন এ নামাজকে কসরের নামাজ বলে। এই কসরের নামাজ, বিশ্বনবী (সাঃ) ভ্রমণের সময় যেভাবে কসরের নামাজ আদায় করতেন সে বিষয়েই আলোচনা করব। বিশ্বনবি (সাঃ) ভ্রমণের সময় চার রাকাত ফরজ নামাজ গুলো কসর করে পড়তেন অর্থাৎ চার রাকাত নামাজের পরিবর্তে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতেন। সফরের সময় তিনি শুধু ফরজ নামাজগুলো পড়তেন সুন্নত নামাজের কথা বর্ণিত হয়নি। 

আরো পড়ুনঃ  অ্যান্ড্রয়েড কি এবং Android version এর ইতিহাস

তবে তিনি ফজরের নামাজ, মাগরিবের নামাজ ও বেতের নামাজ পড়তেন। নামাজের পূর্বে বা পরে নফল নামাজ গুলোর পড়ার বিষয়ে কোন নিষেধ করেননি। সফর অবস্থায় নফল নামাজ আদায় করলে, বাড়িতে নফল নামাজ আদায় করার মতই নফল হিসেবে গণ্য হবে। ভ্রমণের সময় তিনি বাহনে বসেই নফল নামাজ আদায় করতেন বাহন যেদিকেই যাক, সেটাকে তিনি কোন সমস্যা মনে করতেন না। তিনি রুকু সিজদা ইশার মাধ্যমে করতেন তবে তিনি রুকুর তুলনায় সিজদায় কম সময় দিতেন।   

রাসুল (সাঃ) সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢোলে যাওয়ার পূর্বে যদি যাত্রা শুরু করতেন, তাহলে যোহরের নামাজ বিলম্বে আসরের নামাজ একসঙ্গে পড়তেন। আর যদি সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে যাওয়ার পর যাত্রা শুরু করতেন, তাহলে যোহর ও আসর নামাজ একসঙ্গে আদায় করে যাত্রা শুরু করতেন। সফরের সময় মাগরিব ও এশার নামাজ বিশ্বনবী (সাঃ) যেভাবে আদায় করতেন তিনি যদি দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত নিতেন। 

আরো পড়ুনঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি - কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করবেন

তাহলে মাগরিবের নামাজকে বিলম্ব করে এশার নামাজের সঙ্গে পড়তেন। তবে বাহনে চলন্ত অবস্থায় বা দীর্ঘসময় যাত্রা বিরতি দিলে, দুই নামাজই একসঙ্গে পড়তেন না, নামাজের নির্ধারিত সময়েই সে নামাজ আদায় করতেন। তাহলে আপনি পরিষ্কার ভাবে বুজতে পেরেছেন যে, বিশ্বনবী (সাঃ) ভ্রমণের সময় যেভাবে কসরের নামাজ আদায় করতেন। এবং আপনি ঠিক রাসুল (সাঃ) নিয়মে সফরে কসরের নামাজ আদায় করবেন।

মেয়েদের কসর নামাজ

যে সমস্ত বোনেরা, মেয়েদের কসর নামাজ সম্পর্কে সে রকম কিছু জানেন না আজকের আর্টিকেলটি তাদেরকে, মেয়েদের কসর নামাজ সম্পর্কে জানতে সহায়তা করবে। মেয়েদের মেয়েদের স্থায়ী ঠিকানা তার স্বামীর বাড়ি অর্থাৎ ওই মেয়েটির শ্বশুর বাড়ি। মেয়েরা যখন স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি বেড়াতে যায়, এবং সে ভ্রমণ কাল ১৫ দিনের কম হয় তাহলে সে মুসাফির বলে গণ্য হবে। এবং তাকে কসরের নামাজ পড়তে হবে। তার মানে চার রাকাতে ফরজ নামাজ গুলো দুই রাকাত পড়তে হবে। তাহলে আপনি আর্টিকেলটি পড়ে নিশ্চয়ই বুজতে পেরেছেন যে, মেয়েদের কসর নামাজ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

কসরের দূরত্ব

আপনি কি কসরের দূরত্ব জানেন? আমি আজ কসরের দূরত্ব নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব। আপনি যখন ৪৮ মাইল বা ৭৮ কিলোমিটার দূরত্বে সফর করার জন্য নিয়ত করবেন এবং সফরের উদ্দেশ্যে আপনার গ্রাম বা শহরের সীমানা পেরিয়ে যাবেন তখন থেকেই আপনি মুসাফির বলে গণ্য হবেন। আর তখন থেকেই আপনার উপরে কসর নামাজের যে বিধান সেই বিধান চালু হয়ে যাবে। তাহলে আপনি নিশ্চয়ই বুজতে পেরেছেন, কসরের দূরত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

সফরে জুমার নামাজের নিয়ম

সফরে জুমার নামাজের নিয়ম হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। আপনি যদি সফরে জুমার নামাজের নিয়ম জানার জন্য আর্টিকেলটি পড়া শুরু করেন তাহলে আপনাকে স্বাগতম। আপনি সঠিক আর্টিকেলটি পড়ছেন। সফরে মুসাফিরের জুম্মার নামাজ না পড়লেও হয় তবে শারীরিক ক্লান্তি, যানবাহনের জটিলতা বা সময়ের কোন সমস্যা না থাকে তাহলে জুম্মার নামাজে শরিক হওয়া যায়। জুম্মার নামাজের আলাদা কোন নিয়ম নেই অন্যান্য মুসল্লিদের মতো দুই রাকাত নামাজ পড়বেন এবং জুম্মার আগে ও পরের সুন্নত নামাজ গুলো, যদি সম্ভব হয় পড়বেন আর যদি সম্ভব না হয় পড়বেন না। আশা করি এই আলোচনা থেকে আপনি বুঝে গেছেন যে, সফরে জুমার নামাজের নিয়ম কি।

উপসংহার

সবশেষে একথা বলে শেষ করবো যে, আল্লাহ সুবহানুতায়ালা আমাদের সবাইকে সঠিক নিয়মে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার তৌফিক দান করুন এবং আমরা যারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কাজে বা বিনোদনের জন্য ভ্রমণে বের হই আমাদের সবাইকে, বিশ্বনবী (সাঃ) ভ্রমণের সময় যেভাবে কসরের নামাজ আদায় করতেন সেভাবে ভ্রমণে কসরের নামাজ আদায় করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

বিশ্বনবী (সাঃ) ভ্রমণের সময় যেভাবে কসরের নামাজ আদায় করতেন তা যদি পেয়ে থাকেন এবং আর্টিকেলটি পড়ে আপনার যদি ভালো লাগে, আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।24079