হাঁপানি বা অ্যাজমা অ্যাটাক হলে কি করবেন

অ্যাজমা অ্যাটাক হলে কি করবেনহঠাৎ করে হাঁপানি বা অ্যাজমা অ্যাটাক হলে কি করবেন, তা কি আপনি জানেন? হাঁপানি বা অ্যাজমা অ্যাটাক হলে কি করবেন সে সম্পর্কে না জানলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন। আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করব হাঁপানি বা অ্যাজমা অ্যাটাক হলে কি করবেন সে সম্পর্কে। আসুন তাহলে দেখে নেই হাঁপানি বা অ্যাজমা অ্যাটাক হলে কি করবেন তার বিস্তারিত বিবরণ।

খুব দ্রুতগতিতে হাঁপানি বা অ্যাজমা সমস্যা বেড়ে চলেছে। হাঁপানি বা অ্যাজমার সমস্যা হলে রোগীদের শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হয়ে থাকে। বুকের ভেতর চাপ ধরে আসে, খুব অস্বস্তিকর অনুভূতি হয়ে থাকে। হাঁপানি বা অ্যাজমার সমস্যা বিভিন্ন রকম কারণে হয়ে থাকে তবে, সবথেকে বেশি বংশগত কারণে হয়ে থাকে। আজ আমরা জানব হাঁপানি বা অ্যাজমা অ্যাটাক হলে কি করবেন সে সম্পর্কে। হঠাৎ করেই হাঁপানি বা অ্যাজমা অ্যাটাক হলে কি করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো।

বর্তমানে আমাদের দেশে হাঁপানি বা অ্যাজমা রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন রকম কারণে হাঁপানির সমস্যা হয়ে থাকে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলিতে অ্যাজমার সমস্যা কমছে, আর সেখানে আমাদের দেশে হাঁপানি বা অ্যাজমা রোগের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। হাঁপানি বা অ্যাজমা অ্যাটাক হলে কি করবেন তার কয়েকটি নিয়ম দেখে নিন।

এরপরেও যদি রোগী শান্ত না হয় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত সঠিক নিয়ম অনুযায়ী রোগীকে ইনহেলার দিতে হবে। এ সময় রোগীদের হাত পায়ের নখ নীল বর্ণ ধারণ করতে পারে ঠোঁট শুকিয়ে যেতে পারে এমন অবস্থা দেখলে খুব দ্রুতই হাসপাতালে নিয়ে যান। কারণ এমন অবস্থায় রোগীদের অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে আর সঠিক সময়ে অক্সিজেন না দিতে পারলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তবে হ্যাঁ সঠিক নিয়মে চলাফেরা করলে হাঁপানি বা অ্যাজমা  অ্যাটাক রোধ করা সম্ভব।

কোন ব্যক্তির যদি হাঁপানির সমস্যা শুরু হয় তাহলে প্রথমত তার শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট হয়, এর সাথে বুকে ব্যথা, কাশি, বুকের ভেতরে শোঁ শোঁ শব্দ হয়, অত্যন্ত অস্বস্তিকর অবস্থা সৃষ্টি হয়। রোগীর এমন মনে হয় যেন তার দম বন্ধ হয়ে আসছে, সে কোনভাবেই নিঃশ্বাস নিতে পারছে না। হাঁপানি সমস্যা হলে সাধারণত শ্বাসনালী ফুলে যায়, সেইসাথে শ্বাসনালী সরু হয়ে যায় এর ফলে রোগী ঠিকভাবে শ্বাস নিতে পারে না।

এবং এ সময় কাশি শুরু হতে পারে, দ্রুত সময়ের মধ্যে চিকিৎসা শুরু না করলে ক্রমশই রোগীর অবস্থা খারাপ হতে থাকে। আর তাই হাঁপানির রোগীরা নিজেদের কাছে সবসময়ই ইনহেলার রাখে হঠাৎ করে এমন সমস্যা হলে যত দ্রুত সম্ভব ইনহেলার ব্যবহার করে থাকে, এতে করে অল্প সময়ের মধ্যেই হাঁপানি সমস্যা থেমে যায়। আপনারা জানলেন হাঁপানি হলে কি হয় সে সম্পর্কে

বিভিন্ন রকম খাবারের এলার্জি থাকে, এলার্জিজনিত কারণেও হাঁপানি বাড়তে পারে। রোগীর বিভিন্ন রকম বস্তু ও খাবারে এলার্জি সমস্যা থাকে। কোন খাবার খেলে হাঁপানি বাড়ে সে সমস্ত খাবার সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

চিংড়ি মাছ অনেকের চিংড়ির মাঝে এলার্জি সমস্যা থাকে, কারণ চিংড়ি মাছে অধিক পরিমাণে সালফাইট রয়েছে। আর অধিক পরিমাণে সালফাইট থাকার কারণে অনেক সময় এলার্জির সমস্যা হয়, আর এই এলার্জি থেকে হাঁপানি সমস্যা বাড়ে।

টিনজাত খাবারঃ কিছু টিনজাত খাবারের মধ্যে প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের খাবারে রাসায়নিক উপাদান যেমন- পটাশিয়াম বাই সালফাইট ইত্যাদি থাকে, এর ফলে ফুসফুসে প্রদাহ বাড়ায়। তাই এ সমস্ত খাবার খেলে হাঁপানি বেড়ে যেতে পারে।

ঠান্ডা খাবারঃ হাঁপানি রোগীদের ঠান্ডা খাবার থেকে সব সময় দূরে থাকতে হবে। এর মধ্যে আইসক্রিম, দই, ঠান্ডা দুধ, ইত্যাদি খাবার খেলে অনেক সময় হাঁপানি রোগীর সমস্যা বেড়ে যায়। আর তাই এ সমস্ত খাবার না খাওয়াই ভালো।

বিভিন্ন রকম সবজি বা আমিষে অ্যালার্জিঃ অনেকের মাছ, মাংস, সবজিতেও এলার্জি থাকে এর মধ্যে- ইলিশ মাছ, গরুর মাংস, হাঁসের মাংস, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, কাঁকড়া, নারকেল, ব্লু চিজ ইত্যাদি খাবারে এলার্জি হয়ে থাকে। আর এলার্জি থেকেই হাঁপানি বাড়তে পারে।

বাদামঃ অনেক সময় বিভিন্ন রকম বাদামেও অ্যালার্জি হয়ে থাকে এর মধ্যে- কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম, ও চীনা বাদাম।

বিভিন্ন রকম কারণেই হাঁপানি বা অ্যাজমা অ্যাটাক হতে পারে। হঠাৎ করেই রোগীর হাঁপানি বা অ্যাজমা অ্যাটাক হলে, প্রাথমিক অবস্থায় কি কি করতে হবে সে বিষয়গুলো আপনাদের মাঝে আলোচনা করেছি। আজ আপনারা জানলেন, হাঁপানি বা অ্যাজমা অ্যাটাক হলে কি করবেন, হাঁপানি হলে কি হয় ও কোন খাবার খেলে হাঁপানি বাড়ে সে সম্পর্কে। পোস্টটি পড়ে আশা করি আপনার উপকৃত হয়েছেন, ধন্যবাদ। ২৫২৪২