ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ - ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধ

ব্লাড ক্যান্সার হলে কি হতে পারেযদি আপনার ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ জানা না থাকে তাহলে আপনি ব্লাড ক্যান্সারকে শনাক্ত করতে পারবেন না। এই পোস্টের মাধ্যমে ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ সম্পর্কে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিস্তারিত আলোচনা হবে। ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ জেনে নিয়ে যথাযথভাবে নিয়ম ফলোআপ করে রোগীর চিকিৎসা করাতে পারেন।

ব্লাড ক্যান্সার একটি মরণব্যাধি রোগ যা প্রাথমিক অবস্থায় খুব বেশি লক্ষণ প্রকাশ পায় না। পরবর্তীতে এই সংক্রমণ যদি বেড়ে যেতে থাকে, তাহলে ভয়ানক আকার ধারণ করে। গতানুগতিক হারে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর হার অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদি ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ জানা থাকে তাহলে খুব সহজেই আপনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যু ঘনিয়ে এসেছে কিভাবে বুঝবেন

একজন ব্লাড ক্যান্সার রোগী জীবনের শেষ দিনগুলোতে খুবই নীরব হয়ে যান। মৃত্যুর অনেক কাছাকাছি পৌঁছে রোগী অনেক কিছুই বুঝতে পারে। যা অন্যেরা হয়তোবা বুঝতে পারে না। এই সময় রোগী অনেক বেশি ঘুমাতে পারে। অনেক সময় আশেপাশের অদৃশ্য কিছু দেখে নিজেই কথা বলতে থাকে এই রকমটাও হতে পারে।

আবার অনেক সময় কথা বলতে যেয়ে সে অনেক কাছের কাউকে নাও চিনতে পারে এবং খুব বিভ্রান্তিতে পড়ে যেতে পারে। ব্লাড ক্যান্সার রোগীর আশেপাশে কি ঘটছে, সেই ব্যাপারে আগ্রহী নাও হতে পারে। কিন্তু মানুষ কি বিষয়ে কথা বলছে সেগুলো সে পরেও শুনতে পায়।

ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ এর শেষ দিনগুলোতে তার শরীর ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যেতে থাকে এবং ত্বকের বিবর্ণতা চলে আসে। এই সমস্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধ জেনে আপনি ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যু ঘনিয়ে আসার সময় বুঝতে পারেন।

ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ

মৃত্যু সবসময় যেকোনো লোকের কাছে খুবই বেদনাদায়ক হয়ে থাকে। কিন্তু কেউ যদি মৃত্যু হওয়ার পূর্বেই জেনে যায়, সে কিছুদিন পর মৃত্যুবরণ করবে তাহলে সেই যন্ত্রণা আরও বেশি বেদনাদায়ক হয়ে যায়। সেই ধরনের কিছু রোগের নাম হচ্ছে ব্লাড ক্যান্সার যা ধীরে ধীরে একজন ব্যক্তিকে ভোগায়।

ব্লাড ক্যান্সার রোগী বেশিরভাগ সময়ই নিজের শরীরে খুব ক্লান্তি অনুভব করবে এবং শরীর খুবই দুর্বল হয়ে যাবে। অধিকাংশ সময়ই ব্লাড ক্যান্সার রোগী ঘুমাতে চায়, তাই তাদের বেশিরভাগই বিছানায় থাকতে চায়। যদি কেউ ঘুম ভাঙানোর চেষ্টা করে তাহলে সহজেই ঘুম থেকে উঠতে চায় না।

ক্লান্তি এবং দুর্বলতার পাশাপাশি তাদের যেই পরিমাণ ঘুমের আকাঙ্ক্ষা থাকে সেটা খুব বেশি দেখা যায়। তারা খুব বেশি ঘুমায় বলে তাদেরকে খুব ডাকাডাকি করেও খুঁজে পাওয়া যায় না। ব্লাড ক্যান্সার রোগীর ক্ষেত্রে ঘুমের প্রভাব অনেক বেশি।

যখনই আপনি দেখবেন কোন ব্লাড ক্যান্সার রোগী খাবার খেতে যাচ্ছে অথবা যেই কোন কিছুই হোক সে যখনই গিলতে যাবে তখনই তার গলায় সমস্যা হচ্ছে। এর কারণ সে যখনই খাবার খাচ্ছে খাদ্যনালীতে ক্যান্সার কোষ ছড়িয়ে পড়ার কারণে খাদ্যনালী কাজ করা বন্ধ করে দেয়।

আর তখন রোগী খেতে চাইলেও খেতে পারেনা ও সহজে গিলতে পারে না। যতই রোগীর মৃত্যুর দিন ঘনিয়ে আসতে থাকে, খাবার  গিলার ক্ষমতাও তার ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যেতে থাকে।

ব্লাড ক্যান্সার রোগী মৃত্যুর পূর্বের দিনগুলোতে খুবই উদাসীন ভাব নিয়ে থাকে। কোন ধরনের বিনোদন, খেলাধুলা কোন কিছুতেই তাদের আগ্রহ সৃষ্টি হয় না। কোন বিষয় নিয়ে ভালোভাবে মনোযোগ দিতে পারে না, কারো সাথে কথা বলতে গেলেও খুব বিরক্ত অনুভব করে।

পূর্বে যেই কাজ নিয়ে খুব বেশি আনন্দ পেত সেই ধরনের কাজও ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর পূর্ব দিনগুলো আগ্রহ হারিয়ে যায় ধীরে ধীরে রোগীর উদাসীন মনোভাব গড়ে ওঠে। সেই সময় রোগীকে দেখলে মনে হয় সে যেন কি চিন্তায় খুব গভীর ভাব নিয়ে রয়েছে।

ব্লাড ক্যান্সার রোগীর শেষের দিনগুলোতে শরীরে ব্যথা অনুভব হতে পারে। কারণ তার কোষের বৃদ্ধি হওয়ার ফলে টিউমার গুলো ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি। আর যখনই টিউমার গুলো ফেটে রাসায়নিক পদার্থ শরীরে বের হয়ে আসে, তখন স্নায়ুতন্ত্রে এর প্রভাব পড়ার কারণে তীব্র ব্যথার সৃষ্টি হয়। যার ফলে রোগী অনেক জোরে কান্নাও করতে পারে।

মৃত্যুর আগে ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ হল রোগীর চামড়া কুঁচকে যেতে পারে। যেহেতু জীবনের শেষের দিনগুলোতে তার এরকম হয়ে থাকে। অনেকের ক্ষেত্রে এটি অনেক পূর্বেই দেখা যেতে পারে।

ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর সবচেয়ে সাধারণ কারণ কি

সাধারণত ব্লাড ক্যান্সার রোগীর রক্তের কোষের মধ্যে যেই ডিএনএ রয়েছে, সেখানে মিউটেশনের জিনগত পরিবর্তন হওয়ার ফলে ব্লাড ক্যান্সার সৃষ্টি হয়। আর সেই ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধ না জানলে ব্লাড ক্যান্সার গুলি রক্তের কোষগুলোকে স্বাভাবিক অবস্থা থেকে অস্বাভাবিক করে তোলে।

কোষগুলি এমনভাবে অস্বাভাবিক আচরণ করে যে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে এবং রোগীকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে। অনেক সময় বংশগতভাবেও যদি কারো ব্লাড ক্যান্সার হওয়ার সমস্যা থেকে থাকে তাহলে পরবর্তীতে অন্যদেরও হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই ব্লাড ক্যান্সার যে কোন বয়সেই হয়ে যেতে পারে।

অনেক সময় ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধ না জানলে উল্টাপাল্টা অনেক ধরনের খাবার খাওয়ার পরেও ব্লাড ক্যান্সার হয়ে থাকে যা ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর কারণ হয়ে যায়। এছাড়াও সাধারণ কারণ হিসেবে মেটাস্টেস থেকে যেই ব্লাড ক্যান্সার সৃষ্টি হয়, সেটি ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর সাধারণ কারণ হতে পারে।

ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর তিন দিন পূর্বের লক্ষণ

ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ এর তিন দিন পূর্বে যেই লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় তা হলো -

১। দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাওয়াঃ 

ব্লাড ক্যান্সার রোগীর চোখে দেখার ক্ষমতা ধীরে ধীরে খুবই কমে যেতে থাকে। সে খুব সামান্য দূরের বস্তুও ঘোলা দেখতে থাকে এবং তার অপটিক স্নায়ুর কাজ ধীরে ধীরে এতটাই কমে যায় যে, তার দৃষ্টিশক্তি একেবারেই হারিয়ে যেতে থাকে অর্থাৎ হ্রাস পায়।

এই ধরনের ক্যান্সার রোগী যখনই চোখের পাতা বন্ধ করতে যায়, তখনই তার চোখের পাতা সে চাইলেও পুরোপুরি বন্ধ করতে পারে না। কারণ তার চোখের পাতায় রক্ত সঞ্চালন এতটাই কমে যায় যে, তার চোখের পাতার শক্তিও কমে যেতে থাকে।

একটু খেয়াল করলে দেখতে পাবেন যে, ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মাথা ঝুঁকে যাওয়ার মত সমস্যা হয়। তাদের ঘাড়ের বেশি শক্তি কমে যায় বলে ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মাথা সামনের দিকে ঝুঁকে যায়। রোগীকে দেখলে এমনটা মনে হয় যে তিনি ঝুঁকে যেয়ে কোন কিছু একটি করছেন। অনেকের ক্ষেত্রেই আবার নিচের চোয়াল ঝুলে যেতে দেখা যায়।

পিউপিল ধীরে ধীরে অস্বাভাবিক হয়ে যেতে শুরু করে। কারণ কোন স্বাভাবিক মানুষের চোখে যদি আলো দিয়ে ভালো করে দেখা হয় তাহলে বুঝা যাবে তাদের চোখের কালো অংশে একটি কালো বৃত্ত রয়েছে যেখানে আলো ফেলার সাথে সাথে চোখ বন্ধ হয়ে আসতে পারে।

কিন্তু একজন ব্লাড ক্যান্সার রোগীর পিউপিলের উপরে আলো ফেলার সাথে সাথে পিউপিল খুব ধীরে বন্ধ হয়, কারন পিউপিলের অসারতা শুরু হয়ে যায়।

ধীরে ধীরে একজন ব্লাড ক্যান্সার রোগীর কণ্ঠস্বর পরিবর্তন হতে থাকে। বিশেষ করে কন্ঠ গম্ভীর ও ভারি হয়ে যায়। ধীরে ধীরে ব্লাড ক্যান্সার রোগীর কথাও অস্পষ্ট হতে থাকে। শারীরিক শক্তি কমে যাওয়ার কারণে রোগীর মস্তিষ্ক ঠিক রাখার জন্য অন্য অঙ্গগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে।

বিশেষ করে এই ধরনের রোগীর নাকের দুই পাশে একটা করে ভাঁজ থাকে। যা লম্বা হয়ে ঠোঁটের দুই দিক পর্যন্ত বিস্তার লাভ করতে পারে। যখনই হাসে তখনই ভাজ খুব ভালোভাবেই স্পষ্ট দেখা যায়। ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর কিছুদিন পূর্বে যদি সে নাও হাসে তাতেও খুব ভালোভাবেই সেই ভাঁজ দেখা যায়।

ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ হল পরিপাকতন্ত্রতে রক্তক্ষরণ হতে পারে। আর তখনই দেখা যায় যে, পরিপাকতন্ত্র কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। এই অবস্থায় ক্যান্সার কোষ যখন খুব ভালোভাবেই সংক্রমিত হয়ে যায়, তখন কোষের আবরণগুলো ফেটে যেয়ে রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এছাড়াও মাঝে মাঝে মলের সাথেও রক্ত বের হতে দেখা যায়।

ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর দিনের লক্ষণ

ক্যান্সার হাসপাতাল গুলোতে ভালোভাবে ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধ পর্যালোচনা করে ব্লাড ক্যান্সার রোগের মৃত্যুর দিনের লক্ষণগুলো বিশেষভাবে জানা যায়। প্রায় সত্তর শতাংশ ব্লাড ক্যান্সার রোগীর ক্ষেত্রে মৃত্যুর আগে এই লক্ষণগুলো দেখা যায় যেমন,

১। শরীর শীতল হয়ে যাওয়াঃ 

ক্যান্সার রোগী যেদিন মারা যাবে সেদিন তার শরীর খুবই শীতল হয়ে যায়। কারণ তার শরীরে খুবই জটিলভাবে রক্তচাপ এতটাই কমে যায় যে হাত দিয়েও যদি রোগীর শরীরকে স্পর্শ করা হয় তাহলে খুবই শীতল ভাব অনুভব করা যায়।

ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ হল তার মৃত্যুর দিনে সে খুবই অজানা ভীতি কারণে কাতরাতে থাকে। অনেক সময় দেখা যায়, রোগীরা অদৃশ্য কিছু দেখে ভয়ে ছটফট করতে থাকে এবং কোথাও যেয়ে লুকিয়ে পড়তে চায়। মাঝে মাঝে নিজের অনেক আপন জন কাউকেও দেখে ভয় পেয়ে যায়।

ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যু হওয়ার এক সপ্তাহ পূর্ব থেকেই ত্বকের রং পরিবর্তন হতে শুরু করে। বিশেষ করে তাদের ত্বকের রঙ অনেকটা নীলাভ হয়ে যায় লালচে, বেগুনি বা মার্বেল রঙেরও হয়ে যায়। এই যে ত্বকের রঙ পরিবর্তন হয় এটিকে মটলিং নামেও ডাকা হয়।

যখনই রোগীর হৃদপিণ্ড ভালোভাবে কাজ করতে পারে না। রক্ত পাম্প করা বন্ধ করে দেয়, তখনই রোগীর শরীরের ত্বক বিবর্ণ হয়ে যেতে থাকে।

ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর দিনে প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট শুরু হতে পারে। এই সময় রোগীর ফুসফুস ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। ফলে জীবনের এই শেষ দিনেও রোগীকে তীব্র শ্বাসকষ্টে ভোগা লাগতে পারে।

ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী অনেক সময় ভুলভাল কথা বলে অর্থাৎ অন্যরা যা দেখতে পায় না বা শুনতে পায় না এই ধরনের জিনিসগুলো বলতে থাকে। অনেক সময় অদৃশ্য কোন জিনিসের উপস্থিতিও বর্ণনা করে যেতে থাকে। কাছাকাছি কোন মৃত আত্মীয় স্বজনকেও অনেক সময় দেখতে পায় যেগুলো সে আপন মনে বলতে থাকে।

৬। আবেগপ্রবণ হয়ে পড়াঃ 

রোগী এই সময়ে খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে। যেহেতু শেষ দিনে রোগীর বিদায় নেওয়ার সময়। তাই রোগী এতটাই আবেগপ্রবণ হয়ে যায় যে সামান্য কোন কারণেও সে হেসে ও কান্না করে ফেলে।

ব্লাড ক্যান্সার রোগী মৃত্যুর দিনে অনেক সময় তার মূত্রাশয় এবং মলাশয় ঠিকভাবে কাজ করে না। নিজের অজান্তেই অনেক সময় বিছানায় প্রস্রাব পায়খানা করে ফেলে। যদি প্রস্রাব পায়খানা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তাহলে বুঝতে হবে এটি তার মৃত্যুর লক্ষণ।

অনেক সময় মৃত্যুর কিছু সময় পূর্ব থেকেই রোগীর শ্বাসনালীতে এক ধরনের তরল পদার্থ জমা হয়ে যায়। যার ফলে রোগীর শ্বাস প্রশ্বাসের সাথে বাতাসের প্রবল সংঘর্ষ হয়। এর ফলে গলার ভেতরে ঘড় ঘড় শব্দ হতে থাকে।

মৃত্যুর শেষ দিনে যখন রোগীর স্বাভাবিক অবস্থায়ও অনেক সময় থাকে তখন হঠাৎ করেই সে কোন বিভ্রান্তিতে পড়ে যায়। নিজের কাছের আপনজন লোক কেউ সে সহজে চিনতে পারেনা। যদি কোন কারণ ছাড়াই ব্লাড ক্যান্সারের রোগী কাউকে চিনতে না পারে এবং খুব অস্থির হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে তার জীবনের শেষ মুহূর্ত ঘনিয়ে আসছে।

১০। হঠাৎ ব্যথা মুক্তঃ 

হঠাৎ করেই কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে দেখা যায়, ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ এর কারণে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ফলে শরীরে যেই ব্যথা সৃষ্টি হয় সেই ব্যথা হঠাৎ করে নাই হয়ে যায়। এই সমস্যাটি মৃত্যুর কিছু সময় পূর্বে রুগীর শরীরে অনুভব হতে পারে।

ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধ কিভাবে মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়

আপনি যদি ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধ করে মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে চান তাহলে আপনাকে কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে। যার মধ্যে ব্লাড ক্যান্সার রোগীকে অবশ্যই কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি একসঙ্গে দিতে হবে। তেজস্ক্রিয়তা পরিহার করতে হবে যেন কোনভাবে ব্লাড ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে না পারে। রাসায়নিক দ্রব্যাদির সংস্পর্শে যাওয়া যাবে না।

ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ জেনে এক্সরে ও নিউক্লিয়ার এর কাজ করার সময় বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। ধুমপান ও অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় থেকে দূরে থাকতে হবে। এছাড়াও কেমোথেরাপি, বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন এবং বায়োলজিক্যাল থেরাপি নিয়ে ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধ করে মৃত্যুর ঝুঁকিকে কমানোর চেষ্টা করতে পারেন।

শেষকথা

আশা করছি এই পোস্টের মাধ্যমে ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ এবং ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্পর্কে খুব ভালো একটি ধারণা হয়েছে। এই সম্পর্কে আপনার আশেপাশের বন্ধুদের সচেতন করতে পারেন। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে পোস্টের নিচের অংশে মন্তব্য করে আমাদের সাথেই থাকুন। ২৫২৭৫